মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে আরো সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে বলেও ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের দুটি তেল শোধনাগারে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ইরান।
সে কারণে ইরানের দিকেই আঙুল তুলেছে ওয়াশিংটন। আর এবার যুক্তরাষ্ট্র শুধু মুখে বলেই ক্ষান্ত নয়। সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। রীতিমতো সমর-সজ্জার আয়োজনও সেরে ফেলেছে তারা।
মার্কিন আগ্রাসনকে হুঁশিয়ারি আর ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করার পরও যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকেই নিশানা করছে, ইরানও পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছে। ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন আগ্রাসন হলে তারাও চুপ করে বসে থাকবে না। তারাও জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকছে। মার্কিন আগ্রাসনকে রুখতে ইরান কোমর বেঁধে নামছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তারপর সৌদি ও আরব আমিরতের দাবি মেনে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে। আগে থেকেই সৈন্য মোতায়েন ছিল, এখন আবার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে টগবগ করে ফুটছে আরববিশ্ব।
সৌদির তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশ্বে তেলের সরবরাহ বহুলাংশে কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের তেল বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন হুমকির মুখে পড়েছে ইরান। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের সম্ভাবনাও কমে গেছে। আলোচনার রাস্তা থেকে পিছু হটে সে কারণে যুদ্ধের আমেজ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।